Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

এক নজরে কোটালীপাড়া উপজেলা

অবস্থান

কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা। প্রাচীন এ জনপদ সমতটের রাজধানী ছিল বলে ঐতিহাসিকগণ মনে করেন। ভৌগোলিকভাবে কোটালীপাড়া ২২.৯৮৩৩ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৯.৯৯১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।

সীমানা

কোটালীপাড়া উপজেলার উত্তরে গোপালগঞ্জ সদর ও মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা, দক্ষিণে বরিশালের নাজিরপুর ও উজিরপুর উপজেলা, পূর্বে বরিশালের আগৈলঝরা উপজেলা ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা এবং পশ্চিমে গোপালগঞ্জ সদর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা।

কোটালীপাড়া উপজেলার পটভূমি

কোটালীপাড়া প্রাচীন স্বাধীন বঙ্গরাজ্যের একটি প্রাচীরঘেরা সুরক্ষিত নগরী। গোপালগঞ্জ জেলা সদর হতে ২৮ কিঃ মিঃ দূরে ঘাঘর (শৈলদহ) নদীর তীরে এ প্রাচীর নগরীর অবস্থান। এ নগরীকে চন্দ্রবর্মা কোটও বলা হতো। শ্যামাচন্দ্র দেবের ঘুগ্রাহাটি তাম্র লিপিতে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। শ্যামাচন্দ্র দেব পুশকরনের বাসিন্দা ছিলেন। তার পিতা সিংহ বর্মন পুশকরনের রাজা ছিলেন। ৩১৫ খ্রিষ্টাব্দে চন্দ্রবর্মা কোটালীপাড়া জয় করে ৩০০ ফুট উঁচু একটি মাটির প্রাচীর নির্মান করেন। এ প্রাচীরের পূর্ব-পশ্চিমে দৈর্ঘ্য ছিল ৪.৪৫ কিঃ মিঃ এবং উত্তর-দক্ষিনে দৈর্ঘ্য ছিল ৩.০০ কিঃ মিঃ। এ মাটির দূর্গটিকে ‘চন্দ্রবর্মা কোর্ট’ বলা হতো। এ প্রাচীরের রক্ষক বা কর্মকর্তাকে বলা হতো ‘কোটপাল’। এ থেকে কোটালীপাড়া নামের উৎপত্তি। তাছাড়া নিম্নোক্তভাবে কোটালীপাড়া নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।

 এতদ্ব্যতীত ‘কোটাল’ ও ‘পাড়া’ শব্দ দু’টি একত্রিত হয়ে কোটালীপাড়া শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। আর এখানে ‘কোটাল’ শব্দের অর্থ ‘যোদ্ধা’ বা ‘নগররক্ষক’ এবং ‘পাড়া’ শব্দের অর্থ বসতি। অর্থাৎ ‘যোদ্ধা’ বা নগররক্ষকদের বসতি। শব্দের বিচারে বলতে গেলে এই অঞ্চলে যোদ্ধা বা নগররক্ষকদের বসতি গড়ে ওঠার কারণে এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয় কোটালীপাড়া।

 

প্রশাসনিক ইউনিট

 মোট আয়তন                                 :           ৩৫৫.৯০ বর্গকিলোমিটার

 ইউনিযন                                        :           ১১ টি (সাদুল্লাহপুর, রাধাগঞ্জ, কলাবাড়ী, রামশীল, আমতলী, কান্দি, বান্দাবাড়ী, পিঞ্জুরী, হিরন ও কুশলা, শুয়াগ্রাম)

 পৌরসভা                                       :           একটি (কোটালীপাড়া- প্রথম শ্রেণী)

জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য

বিবরন

পরিমান

 মোট জনসংখ্যা

২,৩০,৪৯৩ জন (২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)

২,৪১,৮৭০ জন  (খানা শুমারী-২০১৮) (আনঅফিসিয়াল)

 মোট পুরুষ

১,১৩,৪৯২ জন (২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)

১,২৫,০৩৩ জন  (খানা শুমারী-২০১৮) (আনঅফিসিয়াল)

 মোট মহিলা

১,১৭,০০১ জন (২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)

১,১৬,৮৩৭ জন  (খানা শুমারী-২০১৮) (আনঅফিসিয়াল)

 মোট মুসলিম জনসংখ্যা

১,০৯,৩৪৪ জন (২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)

মোট হিন্দু জনসংখ্যা

১,১৫,১২৫ জন (২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)

মোট খ্রিস্টান জনসংখ্যা

৫,৯৬২ জন (২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)

অন্যান্য জনসংখ্যা

৫৩ জন (২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)

উপজেলার বৌদ্ধ জনসংখ্যা

৯ জন (২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)

জনসংখ্যার ঘনত্ব

৬৪৮ জন (প্রতি বঃ কিঃ মিঃ)

জনসংখ্যার ঘনত্ব

১৬৭৭ জন (প্রতি বঃ মাইলে)

জনসংখ্যার জন্মহার

০.১৫% (২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী)

শিক্ষার হার

৫৯.০২%